Home » রামায়ণ » বাংলা রামায়ণ কাহিনী Ramayan Bangla কৃত্তিবাসী রামায়ণ

বাংলা রামায়ণ কাহিনী Ramayan Bangla কৃত্তিবাসী রামায়ণ

Ramayan Bengali বাংলা রামায়ণ কাহিনী Ramayan Bangla:

রামায়ণ রচনা করেন আদিকবি ঋষি বাল্মীকি।

রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন কৃত্তিবাস ওঝা। এই কাহিনী মোট ৬টি পর্বে বিভক্ত। সুবিশাল সেই কাহিনী সংক্ষেপে বলবার চেষ্টা করছি।

সূচিপত্র

Ramayan Bengali কৃত্তিবাসী বাংলা রামায়ণ কাহিনী

সূর্য বংশের প্রতাপশালী রাজা অযোধ্যার দশরথ।

তিনি একদিন মৃগয়া করতে গিয়ে শব্দভেদী বাণ এর দ্বারা এক ঋষি বালক সিন্ধু মুনি কে বধ করেন। যিনি ছিলেন অন্ধ পিতা-মাতার একমাত্র সম্বল।

অন্ধ মুনি মহারাজ দশরথ কে অভিশাপ দিলেন, “পুত্রশোকে হবে তোর মৃত্যু”।

দশরথ তখন হাসছেন, কারণ তিনি ছিলেন অপুত্রক।

অন্ধ মুনি ধ্যান যোগে সবকিছু অবগত হয়ে রাজা দশরথ কে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করার জন্য বললেন। এর ফলে তিনি পুত্র লাভ করবেন।

বাংলা রামায়ণ – রাম, লক্ষণ, ভরত ও শত্রুঘ্নর জন্ম

তখন মহারাজ দশরথ সেই অন্ধ মুনির উপদেশ মত ঋষি শৃঙ্গ মুনির দ্বারা পুত্র কামনায় যজ্ঞ করলেন।

সেই যজ্ঞে উৎপন্ন চরু দশরথ তাঁর তিন রানী কে দিলেন ভক্ষণ করার জন্য।

দেবতা গণের প্রার্থনায় ভগবান শ্রীহরি চার অংশে দশরথের পুত্র রূপে কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকয়ীর গর্ভে ভরত, সুমিত্রার গর্ভে লক্ষণ ও শত্রুঘন গ্রুপে জন্ম গ্রহণ করেন।

স্বয়ং লক্ষীদেবী রাজা জনকের দ্বারা যক্ষভূমি কর্ষণের ফলে অযোনিসম্ভবা কন্যারূপে সিতা নামে আবির্ভূতা হন।

গুরুদেব বশিষ্ঠ এর কাছে চার ভাই বিদ্যা অর্জন করলেন। সেই সঙ্গে অস্ত্রবিদ্যাও।

তপোবনে যখন মুনী ঋষীগণ যজ্ঞ করেন, তখন লঙ্কাপতি রাবণের অনুচরেরা যত রাক্ষস ও রাক্ষসী সেইসব যোগ্য নষ্ট করে দেয়। তাই তারা সব সময় উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।

মহা মুনী বিশ্বামিত্র এইসব যজ্ঞ নির্বিঘ্নে করার কথা চিন্তা করে মহারাজ দশরথের কাছে গিয়ে রাম ও লক্ষণকে সঙ্গে করে নিয়ে এলেন।

পথে তাদের দেখা হয় তারকা রাক্ষসীর সাথে।

বিশ্বামিত্র তাকে দেখে কাঁপতে শুরু করেন। শ্রীরাম তাকে আশ্বস্ত করলেন এবং এক বাণে সে রাক্ষসীকে বোধ করলেন।

আনন্দে বিভোর হয়ে মুণিবর অহল্যা তপোবনে নিয়ে গেলেন রাম ও লক্ষ্মণকে।

মুণির কথা শুনে গৌতমের অভিশাপে পাথর হয়ে যাওয়া অহল্যার মাথায় পা রাখলেন শ্রীরাম। সঙ্গে সঙ্গেই অহল্যা মানুষের রূপ ধারণ করে শ্রী রামের বহু গুনগান করলেন।

তারপর বিশ্বামিত্র রাম লক্ষণ কে নিয়ে মুণি ঋষিদের তপবন এ যাওয়ার পথে পড়ল গঙ্গা নদী।

কিন্তু মাঝি নৌকা পার করতে চায় না। কেননা যার পায়ের ছোঁয়ায় পাশানী মানবি হয়, সেই পায়ের ছোঁয়া লেগে যদি তার নৌকা মানব-মানবী হয়ে যায়?

তারপর মাঝি রামচন্দ্রের চরণ ধুয়ে তার নৌকায় তুলে গঙ্গা পার করে দিলেন। কৃপাবশে রঘুনাথ তার নৌকাটিকে সোনার নৌকা করে দেন।

তারপর ঋষিদের তপবনে পৌঁছে গেলেন তিনজন – বিশ্বামিত্র, রাম ও লক্ষণ।

বিশ্বামিত্র মুনি রাম কে বললেন – ঋষি মুণিরা যখন যজ্ঞ করে তখন রাক্ষস রাক্ষসীরা এসে সেই যজ্ঞ নষ্ট করে দেয়।

রাম ঋষিগণ কে আশ্বস্ত করে যজ্ঞ শুরু করতে বললেন – তাঁরা যজ্ঞ শুরু করলেন, রাক্ষস রাক্ষসী আসল নষ্ট করার জন্য।

রামচন্দ্র এক বাণ মেরে সেই সব রাক্ষস রাক্ষসী কে বিনাশ করে দিলেন।

তারপর থেকে তপবন নিরাপদ হল। মনি ঋষিগণ শ্রীরাম ও লক্ষণকে অনেক আশীর্বাদ করলেন।

আরও পড়ুন:

কৃত্তিবাসী রামায়ণ – রাম ও সীতার বিবাহ

এরপর বিশ্বামিত্র রাম লক্ষণ কে নিয়ে মিথিলার রাজা জনকের গৃহে উপস্থিত হলেন। ঋষি কে যথাবিধি পূজা করলেন রাজা জনক।

ঋষি বিশ্বামিত্র বললেন – সীতার জন্যই রাম কে তিনি এনেছেন। রাম লক্ষণ এর সাথে রাজা জনকের পরিচয় করিয়ে দিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র।

শ্রীরামের রূপ দেখে জনক রাজা খুবই খুশি।

কিন্তু হরধনুর কথা ঋষিকে জানিয়ে বললেন – হে মুনিবর, আমি একটি ভীষণ পণ করেছি। আমার গৃহে একটি ধনুক আছে, স্বয়ং মহাদেব শিব সেই ধনুক আমাকে দেন। যে ব্যাক্তি সেই ধনুকে সূতো পড়িয়ে ভাঙতে পারবে, তাকেই কন্যা দান করব।

অন্যদিকে সহচরীদের মুখে রামের আগমন বার্তা ও রূপের মহিমা শুনে সীতাদেবী অন্তরে খুব চঞ্চলা হয়ে ওঠেন।

নিজের অদৃষ্টকে দোষারোপ করলেন, মাথায় করাঘাত করতে লাগলেন। আর বলতে লাগলেন – কেন তাঁর পিতা এমন দুর্জয় পণ করলেন।

কারণ এর আগে বহু বলবান বীর এসে সেই ধনুক ভাঙা তো দূরের কথা, তুলতেও পারেনি।

ramayan sita swayamvar

শ্রীরামচন্দ্র জনক রাজার কথা শুনে ধনুক গৃহে প্রবেশ করে হরধনু ওপরে তুলে অনায়াসে সুতো পড়াতে গেলে পাটকাঠির মত ভেঙে গেল।

এরপর এমন শব্দ হল – যেন মিথিলা নগরে বজ্রপাত হল।

রাজা জনক আনন্দিত হলেন। তিনি অযোধ্যায় দূত পাঠিয়ে মহারাজ দশরথকে রামের সঙ্গে সীতার বিবাহের কথা জানালেন।

দশরথ তখন মহা আনন্দের সঙ্গে চতুরঙ্গ দলের সঙ্গে ভারত ও শত্রুঘ্ন কে সঙ্গে নিয়ে মিথিলায় চললেন।

জনক রাজা সেই বার্তা পেয়ে কিছুদূর পথ এগিয়ে গিয়ে দশরথকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের প্রাসাদে নিয়ে এলেন।

তারপর শুভ লগ্নে রামের সঙ্গে সীতার আর জনকের অপর কন্যা উর্মিলার সঙ্গে লক্ষণের বিয়ে দিলেন।

জনকের ভাই কুশধ্বজ। তাঁর ছিল দুই কন্যা। তাদেরও বিয়ে দিলেন – ভরতের সঙ্গে মান্ডবীর আর শত্রুর সঙ্গে শ্রুতকীর্তির।

পরদিন দশরথ চার পুত্র আর চার বধূমাতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরছেন।

সহসা পথে বাধা দিলেন পরশুরাম। তিনি সবার পথ আটকে দশরথকে জিজ্ঞাসা করলেন – মহাদেব শিবের পুরাতন হরধনু কে ভেঙেছে? আমি তাকে বিনাশ করব। জগতে একজনই রাম থাকবে।

পরশুরামের কথা শুনে সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন।

মহারাজ দশরথ তার চরণতলে পড়লেন।

তখন রঘুনাথ শ্রীরাম পিতাকে নির্ভয় করে পরশুরামকে বললেন – আমার নামে আপনার দুঃখ কেন? হরধনু যদি পুরাতন ছিল, তাহলে আপনার ধনুকটি কেমন একবার দেখি?

তখন পরশুরাম ক্রোধভরে নিজের ধনুক টি শ্রীরামচন্দ্রের হাতে তুলে দেবার সময় তিনি পরশুরামের তেজ হরণ করে নিলেন।

তারপর সবাই মহানন্দে অযোধ্যায় ফিরে এলেন।

রানীগণ বধূমাতাদের বরণ করে গৃহে তুললেন।

মহারাজ দশরথ বৃদ্ধ হয়েছেন। তাই তিনি তার রাজ্যভার রামকে দিতে চান।

আরও পড়ুন:

Ramayan Bangla – রাম ও সীতার বনবাস

রানী কৈকয়ীর মন্থরা নামে এক দাসী সেই বার্তা কৈকয়ীকে জানিয়ে পূর্ব প্রতিশ্রুতি মত রাজার কাছ থেকে বর চেয়ে নিতে বলল।

তখন সেই দাসীর পরামর্শে কৈকয়ী অভিমান করে ভূতল শয়ন করল।

রাজা দশরথ সেই সংবাদ পেয়ে তার ঘরে গিয়ে‌ অভিমানের কারণ জানতে চাইল।

কৈকয়ী বলল – পূর্ব প্রতিশ্রুতিমত এখন দুই বর এখন তার চাই। এক বরে রাম যাবে ১৪ বছরের জন্য বনবাসে এবং অন্য বরে ভরত হবে অযোধ্যার রাজা।

কৈকয়ীর মুখে এমন নিষ্ঠুর বাণী শুনে দশরথ কাঁদতে শুরু করলেন। তারপর শোকে অবচেতন হয়ে গেলেন।

তখন রাম এই বার্তা পেয়ে পিতার সত্য রক্ষার জন্য বনে চললেন। সঙ্গে চলল সীতা আর লক্ষণ।

কিছুক্ষণ পরে দশরথ জ্ঞান ফিরে পেয়ে যখন জানলেন রাম, লক্ষণ ও সীতা বনে চলে গেছে তখন তিনি “হা-রাম”, “হা-রাম” বলে প্রাণ ত্যাগ করলেন।

সেই সময় ভরত তার মামার বাড়ি নন্দীগ্রামে ছিলেন।

সবকিছু জানার পর তিনি অযোধ্যায় ফিরে এলেন। জননী কৈকয়ীকে ক্রোধে বহু তিরস্কার করলেন।

তারপর পিতার সৎকার করে শত্রুঘ্নর সঙ্গে তপস্বীর বেশে বনে চলে গেলেন রাম কে ফিরিয়ে আনার জন্য।

চিত্রকূট পর্বতে দেখা পেলেন ভ্রাতা শ্রীরামের। তাঁর চরণে পড়লেন।

তারপর বললেন – বিমাতা কে দোষী করে তুমি বনবাসী হলে, সেই শোকে পিতা প্রাণ ত্যাগ করলেন, তুমি গৃহে ফিরে চলো।

পিতার মৃত্যু সংবাদ শুনে শ্রীরাম সহিত সকলেই খুব কাঁদলেন।

এরপর ভরতকে রঘুনাথ বললেন – জননীর কোন দোষ নাই, আমি পিতৃসত্য রক্ষার জন্য বনে এসেছি। 14 বছর পার হলে আমরা অবশ্যই ফিরে যাব। ততদিন তুমি অযোধ্যার অধিপতি হও।

শ্রীরামের কথায় ভরতের মন চাইছে না, তবু তাঁর আদেশ পালন করার জন্য তাঁর পদকাযুগল মাথায় করে নিয়ে সিংহাসনে বসিয়ে নিজে মাটিতে বসে রাজকার্য পরিচালনা করা শুরু করলেন।

এদিকে চিত্রকূট পর্বতে শ্রী রাম লক্ষণ ও সীতা রাজা দশরথ এর শ্রাদ্ধ ক্রিয়া করলেন। তারপর গেলেন অগস্তের তপোবনে।

সেখানে পঞ্চবটী বনে কুটির নির্মাণ করে Ram Sita অবস্থান করলেন।

আর দিন রাত্রি পাহাড়ায় রইলেন অনিদ্রায় অনাহারে Lakshman।

সব সময় তাদের সেবাই লক্ষণের কাজ। ফলাদি সংগ্রহ করা, আর তাদের যখন যা আদেশ পালন করেন লক্ষণ।

Read Also: ১৫ টি মোটিভেশনাল গল্প

বাংলা রামায়ণ সীতা হরণ

Ramayan Bangla লঙ্কার রাজা রাবণ, তার বোন সূরপণখা।

শ্রীরাম ও লক্ষণের দিব্যমূর্তি দেখে কামে জর্জরিতা হয়ে অপূর্ব নারী মূর্তি ধারণ করে শ্রীরামের কাছে গিয়ে বলল – আমি তোমার সেবা করব।

রাম বললেন – তুমি অন্যের ভজনা কর। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী আছে। বাংলা রামায়ণ

তখন লক্ষণের প্রতি মুগ্ধ হয়ে তাকে প্রেম নিবেদনের কথা বললে, লক্ষণ বলল – আমি ব্রহ্মচারী, কাজেই তোমার আশা পূরণ করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।

সূরপনখা তখন চিন্তা করল – এই সীতার জন্যই আমার বাসনা পূর্ণ হল না। ওকে খেলেই আমার দুঃখ দূর হবে।

এই কথা চিন্তা করে আসুন রাক্ষসী রূপ ধারণ করে সীতাকে ভক্ষণ করার জন্য মুখ হাঁ করে তার দিকে এগিয়ে গেল।

তখন রামের আদেশে লক্ষণ সূরপনখার নাক কান কেটে ফেলল একটি মাত্র বানের দ্বারাই।

তারপর রাক্ষসী রাগে-দুঃখে লঙ্কাই ফিরে গিয়ে রাবনের কাছে কাঁদতে কাঁদতে যতসব মিথ্যা কথা বলতে লাগল – দাদা, রাম লক্ষণ আর রামের বউ সীতা পঞ্চবটী বনে বাস করে, ত্রিভূবনে যত নারী আছে, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী ওই সীতা। তোমার জন্য তাকে আনতে গিয়ে আমার এই দুর্দশা দেখ। তুমি লঙ্কার রাজা, তোমারই যোগ্য হবে সেই নারী। তাকে তুমি তাড়াতাড়ি নিয়ে এসো।

রাবণ সূরপনখার কথা শুনে খুব রেগে গেল।

কিন্তু সে তার রূপের কথা চিন্তা করে তাকে হরণ করার ইচ্ছাই চলে গেল মামা মারীচ রাক্ষসের কাছে।

রাবণ মারিচিকে বলল – মামা, আমি পঞ্চবাটি বনে রামের স্ত্রী সীতাকে হরণ করব, তুমি মায়াজাল বিস্তার করে রাম আর লক্ষণকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলা রামায়ণ

রাবনের আদেশ শুনে ভয়ে মারীচের প্রাণ দুরু দুরু। তথাপি তাঁর আদেশ না মানলে তাঁরই হাতে প্রাণ যাবে, তার চেয়ে একটু চেষ্টা করে দেখা উচিত।

এই চিন্তা করে সোনার হরিণ রূপে পঞ্চবটী বনে সীতার সামনে গিয়ে ঘুরতে লাগলো।

সুন্দর সোনার হরিণ দেখে সীতা রামকে সেই হরিণটিকে ধরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে, শ্রীরাম লক্ষণ এর উপর সীতার রক্ষার ভার দিয়ে সেই সোনার হরিণের পিছনে ধাওয়া করলেন।

অনেক দূরে যাওয়ার পর রঘুনাথ একটি বানে সেই মায়াবী রাক্ষসকে আহত করল।

মারিচ রামের কণ্ঠস্বরে “ভাই লক্ষণ আমাকে রক্ষা কর” বলে প্রাণ ত্যাগ করল।

শ্রী রামের কণ্ঠস্বর শুনে সীতা খুব চঞ্চল হলেন। লক্ষণকে একরকম জোর করেই পাঠিয়ে দিলেন তার স্বামীর উদ্দেশ্যে।

ramayana story for kids

কুটিরে সীতা এখন একা। সেই সুযোগে তপস্বীর বেশ ধরে ভিক্ষার ছলে সীতাকে হরণ করে লঙ্কেশ্বর রাবণ পুষ্পক রথে চড়ে লঙ্কা অভিমুখে চলল। বাংলা রামায়ণ।

সীতা “হে রাম”, “হে রাম” বলে কাঁদতে কাঁদতে তার অঙ্গের গহনাগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলতে লাগলেন।

Ramayan Bengali রথে নারীর ক্রন্দনের শব্দ শুনে মহারাজ দশরথের সখা জটায়ু পক্ষী রাবণের রথ গমনে বাধা সৃষ্টি করলে রাবণের সঙ্গে তার যুদ্ধ বাধে।

অবশেষে রাবণ জটায়ুর পাখা খড়গ দিয়ে ছেদন করলে মৃতপ্রায় পক্ষী জটায়ু মাটিতে পড়ে গেল।

রাবণ সীতাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়ে রামকে ত্যাগ করে তাকে ভালবাসতে বলল।

এই কথা শুনে সীতা ক্রোধে দুঃখে বললেন – রাম বিনা আমি আর কাউকে জানিনা। আমাকে হরণ করার ফলে তোর বংশ ধ্বংস হবে।

সীতার বাক্যে রাবণ মহাক্রোধে তাঁকে অশোককাননে বন্দি করে রাখলেন। ভয়ঙ্কররুপিনী শত শত রাক্ষসী চেলী নিয়োগ করল সীতাকে রক্ষা করার জন্য।

অন্যদিকে মায়াবী রাক্ষস মারিচকে মেরে রামচন্দ্র কুটিরে ফিরছেন, এমন সময় পথে দেখা হল লক্ষণের সাথে।

বিস্মিত হয়ে রাম লক্ষণকে বললেন, কুটিরে একাকী সীতাকে দেখে তুমি কেন চলে এলে? বাংলা রামায়ণ।

আজ বুঝি আমাদের বিধি বাম। এই কথা বলতে বলতে তারা চলে এলেন কুটিরে। দেখলেন কুটির শূন্য।

বুঝতে বাকি রইল না – সীতাকে কেউ নিশ্চয়ই হরণ করেছে অথবা কোন হিংস্র জানোয়ার তাকে ভক্ষণ করেছে।

কাঁদতে কাঁদতে শ্রী রাম ও লক্ষণ বহু খোঁজ করলেন। কিন্তু না, কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া গেল না।

কিছুদূর যেতে রাম একটি কঙ্কন কুড়িয়ে পেলেন। চিনতে পারলেন সেটা সীতার। তখন বুঝতে পারলেন – সীতাকে কেউ চুরি করেছে।

আরো কিছু পথ যেতে যেতে মৃতপ্রায় পক্ষী জটায়ুকে দেখতে পেলেন।

Ramayan Bengali রাম ও লক্ষণ কে দেখতে পেয়ে জটায়ু বলল – বধূ মাতা সীতাকে লঙ্কার রাজা রাবণ হরণ করেছে। তাকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমার এই দশা।

এই কথা বলেই জটায়ু প্রাণ ত্যাগ করল। বাংলা রামায়ণ

তখন রাম লক্ষণ পম্পা নদীর তীরে সেই জটায়ুর অগ্নি সৎকার করলেন।

Also Read:

বাংলা রামায়ণ – হনুমানের সাথে রামের দেখা

hanuman ramayan

তারপর শ্রী রাম লক্ষণ ঋষ্যমূক পর্বতে গমন করলে সেখানে পঞ্চ বানরের সঙ্গে দেখা হল।

তারা হলেন – সুগ্রীব, হনুমান, সুষেণ, নল ও নীল। তারা সকলেই শ্রীরাম লক্ষণ কে প্রণাম করলেন।

শ্রীরাম তাদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে বললেন – আমার স্ত্রী সীতা বড় অভাগিনী। তাকে লঙ্কার রাবণ হরণ করে নিয়ে গেছে। তাকে আমি কেমন করে উদ্ধার করব?

তোমরা যদি আমাকে সাহায্য কর, তাহলে খুব ভালো হয়।

তখন সুগ্রীব বলল – আমি আমার ভ্রাতা বালীর দ্বারা বিতাড়িত। যদি আমি আমার রাজ্য ফিরে পাই, তাহলে আমি সীতাকে উদ্ধার করতে আপনাকে নিশ্চয়ই সাহায্য করব।

বাংলা রামায়ণ । সুগ্রীবের কথা শুনে রাম বললেন – সুগ্রীব, তুমি আজ থেকে আমার সখা হলে। আমি বালীকে বধ করে তোমাকে তোমার রাজত্ব দান করব।

এই কথা বলে রাম বালীকে ছল করে হত্যা করে এবং সুগ্রীবকে কিষ্কিন্ধার রাজ সিংহাসনে বসালেন।

Ramayan Bangla Ramayan তারপর সুগ্রীব বহু সৈন্যের সমাবেশ করে এবং লঙ্কায় হনুমানকে পাঠান।

হনুমান লঙ্কায় গিয়ে সেই স্বর্ণলঙ্কাকে আগুনে পুড়িয়ে এবং রাবনকে খুব ভয় দেখিয়ে সীতার সংবাদ নিয়ে ফিরে এল।

আরও পড়ুন: শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী, ছবি, স্ট্যাটাস

কৃত্তিবাসী রামায়ণ – রাম ও বানর সেনার লঙ্কা প্রবেশ

তারপর নল এবং নীল সহ অন্যান্য বানর বীরগণ বড় বড় পাথরের উপর রাম নাম লিখে সাগরে ভাসিয়ে সেতু সৃষ্টি করল।

সকল বানর সৈন্যদের নিয়ে লঙ্কায় প্রবেশ করলেন শ্রীরাম ও লক্ষণ।

Ramayan Bengali রাবণের ভাই বিভীষণ রাবণকে সবিনয়ে বললেন, সীতাকে ফিরিয়ে দিয়ে শ্রীরামের চরণে শরণ নিতে।

বিভীষণের কথা শুনে রাবন ক্রোধে তাঁর গায়ে লাথি মেরে তাকে লঙ্কা থেকে দূর করে দিলেন।

তখন বিভীষণ লঙ্কা ত্যাগ করে শ্রীরামচন্দ্রের চরণে আশ্রয় নিলেন। শ্রী রামচন্দ্র তাকে মিত্র রূপে গ্রহণ করলেন।

শ্রীরামের দলবল লঙ্কায় প্রবেশ করল দেখে ভয়ে রাবণ লঙ্কার দরজা বন্ধ করে দিল।

ramayan lanka

তারপর মন্ত্রীদের সঙ্গে পরামর্শ করে রামের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য রণক্ষেত্রে এলে রাম তার মাথার দশটি মুকুট কেটে ফেললেন বানের দ্বারায়।

লজ্জা পেয়ে রাবণ যুদ্ধ ত্যাগ করে ফিরে গেল।

অনেকদিন কারো দেখা নেই দেখে বালীর পুত্র অঙ্গদ রাবণের সভায় উপস্থিত হয়ে তাকে বহু ভৎসনায় ক্রোধোন্মত্ত করে এলো।

দশানন বাছা বাছা সেনাপতিকে পাঠালো রামের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য। অনেক যুদ্ধ করে অবশেষে তারা যমালয়ে গেল। বাংলা রামায়ণ ।

তখন রাবণের পুত্র মেঘনাদ এলো যুদ্ধ করতে। মেঘের আড়ালে থেকে নাগপাশ দিয়ে রাম ও লক্ষনকে বন্দী করল।

তখন পবনদেব সেখানে এসে শ্রীরাম ও লক্ষনকে গরুড়ের স্মরণ দ্বারায় সেই পাশ থেকে মুক্ত করল।

আরও পড়ুন: গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী

Ramayan in Bengali – কুম্ভকর্ণ বধ

Ramayan Bengali রাবণের ভাই কুম্ভকর্ণ ৬ মাস ঘুমায় ও ১ দিন জাগে। ওই একদিনেই ছয় মাসের খাবার খায়। অসময়ে তাকে জাগালে হবে তার মৃত্যু। এমন বর ছিল তার।

কিন্তু এখন লঙ্কার দুরাবস্থার সময়ই রাবণ বাধ্য হল তাঁর ঘুম ভাঙাতে।

যুদ্ধে গেল কুম্ভকর্ণ, কিন্তু রামের বানে তাঁকে প্রাণ ত্যাগ করতে হল।

তারপর বীরবাহু, মকরাক্ষ আদি বহু রণবীরকে পাঠালো রাবণ যুদ্ধ করার জন্য রাম লক্ষণ এর সঙ্গে।

কিন্তু কেউই প্রাণ নিয়ে ফিরে গেল না।

এরপর রাবণ বিভীষণের পুত্র বালক তরুণীকে পাঠালো যুদ্ধে।

শ্রীরামের পরম ভক্ত সেই তরুণী। তাকে মারবার জন্য রাম যত বান মারেন, সব ব্যর্থ হয়ে যায়।

তখন শ্রীরাম বিভীষণকে জিজ্ঞাসা করলেন – এই বালক তরুণীকে কিভাবে বধ করা যাবে?

বিভীষণ আপন পুত্রের উদ্ধারের জন্য শ্রীরাম কে বললেন – ব্রম্ভবানেই হবে তরুনীর মৃত্যু।

রাম তার কথামতো ব্রম্ভবান মেরে তরুনীর মস্তক ছেদন করলে, সেই কাটা মুন্ডু “রাম”, “রাম” বলতে লাগল।

রামায়ণ – মেঘনাদ বধ

তারপর যুদ্ধক্ষেত্রে ইন্দ্রজিৎ আবার এলো। বহু যুদ্ধ করে যজ্ঞাগারে প্রবেশ করল মহাদেব শিবের পূজা করার জন্য। তার পূজা শেষ হলে কেউ তাকে পরাজিত করতে পারবে না।

তাই বিভীষণের যুক্তিতে লক্ষণ ও হনুমান যজ্ঞাগারে প্রবেশ করল।

হনুমান যজ্ঞ নষ্ট করে দিল। আর লক্ষণ ব্রম্ভাস্ত্র মেরে ইন্দ্রজিৎকে বধ করলেন।

Ramayan Bangla – রাম ও রাবণের যুদ্ধ

ramayan hanuman

রাবণ পুত্র শোকে অধীর হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে এসে শক্তিশেল মারল লক্ষণের বুকে। বাংলা রামায়ণ ।

সুষেণ বৈদ্যের পরামর্শে হনুমান গন্ধমাদন পর্বত এনে তার থেকে বিশল্যকরণীর ঘ্রাণে লক্ষণ প্রাণ ফিরে পেলেন।

আবার রাবণ যুদ্ধে এলে রাম তার দশ মুন্ডু কেটে ফেললেন। কিন্তু আবার সেগুলি জোড়া লেগে যায়।

বাংলা রামায়ণ – রাবণ বধ

বিভীষণ রামকে পরামর্শ দিলেন রাবণের মৃত্যু বান আছে। সেই বান ছাড়া রাবণ মরবে না।

তখন হনুমান ছল করে রাবণের পত্নী মন্দোদরীর কাছ থেকে সেই মৃত্যুবাণ নিয়ে এলেন।

সেই বান শ্রীরামের দ্বারা নিক্ষিপ্ত হয়ে রাবণকে বিনাশ করল।

বাংলা রামায়ণ – সীতা উদ্ধার

তারপর সীতাকে অশোক কানন থেকে নিয়ে এসে অগ্নির দ্বারা পরীক্ষা করে পুষ্পক রথে চড়ে সকলেই মহানন্দে অযোধ্যায় ফিরে গেলেন।

ramayana story

১৪ বছর পরে শ্রীরাম, লক্ষণ ও সীতাকে পেয়ে অযোধ্যাবাসি সবাই খুশি। বাংলা রামায়ণ ।

তারপর শ্রীরাম অযোধ্যার সিংহাসনে বসলেন।

সবাই আনন্দে আত্মহারা। দেবতাগণ আনন্দে স্বর্গ থেকে পুষ্প বৃষ্টি করলেন সীতারামের মাথায়।

আরও পড়ুন: শুভ অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৩ ছবি ও শুভেচ্ছা বার্তা

Ramayan Bangla – সীতার বনবাস

Ramayan Bengali সীতা অনেকদিন রাক্ষসের ঘরে ছিল। তাই এক রজক সীতার চরিত্র অপবাদ দিলে রাম তাঁকে বনবাসে দিলেন। সীতা তখন পাঁচ মাসের গর্ভবতী।

কৃত্তিবাসী রামায়ণ – লব ও কুশ

বাল্মিকী মুনির তপবনে সীতাদেবী রইলেন। সেখানে তার যমজ পুত্র সন্তান হল।

বাল্মীকি মুনি নাম রাখলেন: লব ও কুশ। তিনি তাদেরকে শেখালেন নানাবিধ শাস্ত্র, এমনকি যুদ্ধবিদ্যাও।

এদিকে রামচন্দ্র অশ্বমেধ যজ্ঞ করলেন। যজ্ঞের অশ্ব দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে লাগল।

যখন পঞ্চবটী বনে সেই অশ্ব এলো, তার কপালে জয় পত্র লেখা দেখে লব ও কুশ তাকে ধরে বেঁধে রাখল।

বাংলা রামায়ণ – লব ও কুশের সাথে রামের যুদ্ধ

তখন শত্রুঘ্ন তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করল। কিন্তু পরাজিত হয়ে বন্দী হল। তারপর ভরত ও লক্ষণ যুদ্ধে এসে পরাজিত হল।

আপন পুত্রদ্বয়কে চিনতে না পেরে তাদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলেন আর অবচেতনও হলেন।

Ramayan Bangla Ramayan যুদ্ধে জয়লাভ করে মহানন্দে লব কুশ আশ্রমে ফিরে গিয়ে যুদ্ধের কথা মা সীতাকে জানালে তিনি খুব কাঁদলেন।

তারপর ঠিক করলেন বিধবা হয়ে থাকার চেয়ে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া উচিত। অগ্নি জ্বালানো হল।

এমন সময় বাল্মীকি মুনি এসে সীতাকে মৃত্যু হতে নিবৃত্ত করে মন্ত্রপূতঃ জলের দ্বারা শ্রীরাম সহ সকল ভ্রাতা ও সৈন্যগণের প্রাণ দান করলেন।

তারপর বাল্মীকির সঙ্গে লব কুশ অযোধ্যায় উপস্থিত হয়ে বিনা বাজিয়ে সুমধুর স্বরে রামায়ণের গান গাইলেন।

সেই গানের ছলেই তারা পরিচয় দিলেন যে তারা সীতার সন্তান।

তখন শ্রীরাম তাদেরকে কোলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে, বাল্মীকি মুনি বললেন – আগে সীতাকে গ্রহণ করো।

রামচন্দ্র সম্মত হলেন এবং বাল্মীকি সীতাকে অযোধ্যায় নিয়ে এলেন।

Ramayan in Bengali – সীতার পাতালে প্রবেশ

কিন্তু এর পূর্বে যখন সীতার অগ্নিপরীক্ষা হয়, অযোধ্যাবাসি কেউই তা দেখে নাই। তাই তারা সীতার দ্বিতীয়বার অগ্নিপরীক্ষার কথা বলল।

Ramayan Bengali অতি ক্ষোভের সঙ্গে মা সীতা ডাকলেন তার মা ধরিত্রী দেবীকে, তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

দিব্য সিংহাসনে বসে ধরিত্রী মাতা এলেন। তারপর সবার সমক্ষে সীতাকে কোলে নিয়ে পাতালে চলে গেলেন।

মাতাকে হারিয়ে লব কুশ কাঁদতে লাগলেন।

রাম তখন ধরিত্রীদেবীকে ছেদন করবার জন্য ধনুক ও বান গ্রহণ করলে, ব্রম্ভা তাকে নিবারণ করলেন।

শ্রীরাম সহ প্রত্যেক ভ্রাতার দুটি করে পুত্র ছিল। সকলকে রাজ্যপাট ভাগ করে দিলেন রাম।

তারপর পূর্ব প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য রাম একদিন লক্ষণকে ত্যাগ করলেন ভীষণ ভাবে দুঃখিত হয়ে।

ভরত ও শত্রুঘ্নকে নিয়ে রাম সরযূ নদীর জলে নেমে প্রাণ বিসর্জন দিলেন।

তার পর বৈকুণ্ঠে চার ভ্রাতা মিলে হলেন এক নারায়ন।

আরও পড়ুন:  শ্রীমদ্ভগবদ গীতার সারাংশ


রামায়ণ কিনুন

Price: ₹190.00 INR
Publisher ‏ : ‎ GITAPRESS
Language ‏ : ‎ Bengali

Affiliate Disclosure: Please note that some of the links above are affiliate links and add No additional cost to you. If you purchase any product using these links we will get a small commission as compensation without costing you anything extra. You can consider this as a reward for our hard work to create awesome content and maintain this website free for you.


Ramayan Bengali Video, Ramayan Bangla Video কৃত্তিবাসী বাংলা রামায়ণ কাহিনী

Video Duration: 1 hour 6 minutes 6 seconds

বাংলা রামায়ণ FAQ

রামায়ণ এর রচয়িতা কে?

ঋষি বাল্মীকি হলেন রামায়ণের রচিয়তা।

রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কে?

পঞ্চদশ শতাব্দীর বাঙালি কবি কৃত্তিবাস ওঝা

রামায়ণের প্রথম বাংলা অনুবাদক কে?

কৃত্তিবাস ওঝা

কৃত্তিবাস অনুদিত রামায়ণের নাম কি?

কৃত্তিবাসী রামায়ণ বা শ্রীরাম পাঁচালী

রামায়ণের সাতটি কান্ড কি কি?

আদিকাণ্ড বা বালকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড বা যুদ্ধকাণ্ড ও উত্তরকাণ্ড।

ভারতের স্ত্রীর নাম কি?

দশরথের দ্বিতীয় পুত্র ভরত। ভারতের স্ত্রীর নাম মাণ্ডবী।

প্রথম কোন মহিলা কবি রামায়ণ রচনা করেন?

ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম বাঙালি মহিলা কবি চন্দ্রাবতী রামায়ণ রচনা করেছিলেন।

গীত রামায়ণ গ্রন্থ কে রচনা করেন?

জি ডি মাডগুল্কার


আশা করি গল্প আকারে লেখা সংক্ষিপ্ত কৃত্তিবাসী রামায়ণ পাঠ করে আপনার ভালো লেগেছে।

এই লেখা সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা কোনো মন্তব্য থাকলে Comment করে আপনি আমাদের তা জানাতে পারেন।

আর এই লেখাটি ভালো লাগলে বিভিন্ন Social Media তে বাংলা রামায়ণ কাহিনী সবার সাথে শেয়ার করুন।

আপনার একটি শেয়ার আমাদের পরবর্তী লেখা লিখতে আরো বেশি করে উৎসাহিত করবে।

আপনি এই লেখাগুলো পড়তে পারেন:

1 thought on “বাংলা রামায়ণ কাহিনী Ramayan Bangla কৃত্তিবাসী রামায়ণ”

  1. রামায়নের সম্পূর্ণ কাহিনী পড়েছি । এটিকে যেহেতু অনেকেই ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করে সেহেতু কতগুলো প্রশ্ন আমার মনে দেখা দিয়েছে । প্রশ্নগুলো নিম্নরুপঃ
    ১. রামায়ন কে আমার কাছে একটি আকর্ষণীয় রুপকথার গল্প হিসেবে মনে হয়েছে । চরিত্রগুলো এবং তাদের কর্মকাণ্ড সমূহ বাস্তব বিশ্বের কোন চরিত্রের সাথে মিল নেই এবং তাদের কর্মকান্ডগুলোও অবাস্তব । তাহলে এটিকে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা কতটুকু যৌক্তিক ?
    ২. ঘটনা যদি বাস্তবে নাই ঘটে থাকে তাহলে রাম মন্দির স্থাপন করে রাম সংক্রান্ত পূজা অর্চনা করা কি সঠিক ?
    ৩. রামায়নের কাহিনী যদি সত্য বলে দাবি করা হয় তবে সেই দাবির পক্ষে কোন যুক্তিপ্রমাণ ও তথ্যসূত্র আছে কি ? যেমন রাবনের ১০ মাথা থাকা , সীতার অগ্নিপরীক্ষা , পাতালে ঢুকে যাওয়া , রাক্ষসের বিভিন্ন রুপ ধরা কিংবা রাক্ষসদের অস্তিত্ব , সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার জন্য জাহাজ না বানিয়ে সেতু তৈরির পরিকল্পনা কেন করা হলো ইত্যাদি ।আরো কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর জানতে চাইবো উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর পেলে ।

    Reply

Leave a Comment