আজ আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় (Rabindranath Tagore Biography in Bengali Language) সংক্ষিপ্ত আকারে জানব।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোনো পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেন না। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, লেখক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।
“গীতাঞ্জলি” কাব্যগ্রন্থ রচনার জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সুইডিশ অ্যাকাডেমি কর্তৃক নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন এবং তিনিই এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
বিখ্যাত ‘বিশ্ববিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’ তিনিই স্থাপন করেছিলেন।
এই বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই একমাত্র লেখক যার লেখা দুটি রচনা ভারত ও বাংলাদেশ সরকার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
জন্ম | ৭ই মে, ১৮৬১ (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) |
মৃত্যু | ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) |
বাবার নাম | দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫ সন) |
মায়ের নাম | সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫সন) |
জন্ম ও মৃত্যু স্থান | কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। এখন কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। |
মৃত্যু কালে বয়স | ৮০ বছর |
ডাকনাম | রবি |
ছদ্মনাম | ভানুসিংহ ঠাকুর (ভণিতা) |
উপাধি | গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি |
স্ত্রীর নাম | মৃণালিনী দেবী |
ছেলে ও মেয়ে | রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাধুরীলতা দেবী, মীরা দেবী এবং রেণুকা দেবী |
ভাইবোন | সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বর্ণকুমারী দেবী, পূণ্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৌদামিনী ঠাকুর, বর্ণকুমারী ঠাকুর, শরৎকুমারী ঠাকুর, ভুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরদাদা ঠাকুর (১৩ জন) |
পেশা | কবি, লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং চিত্রশিল্পী |
ধর্ম | হিন্দু ধর্ম |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
সময়কাল | বঙ্গীয় নবজাগরণ |
সাহিত্য আন্দোলন | প্রাসঙ্গিক আধুনিকতা |
পুরস্কার | নোবেল পুরস্কার (১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য) |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | গীতাঞ্জলি (১৯১০), জন গণ মন (ভারতের জাতীয় সঙ্গীত), আমার সোনার বাংলা (বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত), রবীন্দ্র রচনাবলী, গোরা, ঘরে-বাইরে, শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। |
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)) কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন পিতা মাতার ১৪ তম সন্তান।
তিনি একটি বুদ্ধিজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পরিবারের সবাই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও প্রতিভার অধিকারী।
আরও পড়ুন: শুভ রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভেচ্ছা বার্তা ও ছবি
পরিবার পরিচয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম কি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তাঁর পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর “ব্রাহ্মসমাজ” দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাই তিনি আধ্যাত্মিক পথ বেছে নিয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম মাতার নাম সারদা দেবী।
তিনি খুব ছোট ছিলেন যখন তাঁর মা সারদা দেবী মারা যান। সেজন্য তিনি চাকরদের দ্বারা লালিত পালিত হয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই বোন কত জন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৩ জন ভাইবোন ছিল এবং তিনি ছিলেন চতুর্থ জীবিত পুত্র।
তাঁর ১৩ জন ভাই ও বোনের নাম হল সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বর্ণকুমারী দেবী, পূণ্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৌদামিনী ঠাকুর, বর্ণকুমারী ঠাকুর, শরৎকুমারী ঠাকুর, ভুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরদাদা ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কবি এবং দার্শনিক।
তাঁর দ্বিতীয় বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম ভারতীয় এবং অ-ইউরোপীয় যিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত হন।
তাঁর আরেক বড় ভাই জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও নাট্যকার।
স্বর্ণকুমারী নামে তাঁর একটি বোনও ছিল, যিনি ছিলেন একজন উপন্যাসিক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে ৯ বছর বয়সী কাদম্বরী দেবীর বিয়ে হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাদম্বরী দেবীর বয়স প্রায় সমান ছিল। এই কারণেই তারা বেশিরভাগ সময় একসাথে কাটাতেন।
বলা হয় কাদম্বরী দেবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমে পড়েছিলেন। তাই ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ের পর কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা করেছিলেন।
বিবাহ, স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে মৃণালিনী দেবীকে (১৮৭৩–১৯০২) বিয়ে করেন।
মৃণালিনী দেবী ছিলেন ঠাকুর বাড়ির এক অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা “ভবতারিণী”। বিবাহের পর ভবতারিণীর নাম রাখা হয়েছিল “মৃণালিনী দেবী”।
রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর পাঁচ জন সন্তান ছিলেন। তারা হল – মাধুরীলতা, রথীন্দ্রনাথ, রেণুকা, মীরা এবং শমীন্দ্রনাথ।
রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথ খুব অল্প বয়সে মারা যান।
দুঃখজনক সময়
১৯০২ সালে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী এবং কিছুকাল পরে তার দুই সন্তান মারা যায়।
১৯০৫ সালে তার পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও মারা যান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব জীবন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা জীবন
প্রাথমিক শিক্ষা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বনামধন্য সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল (St. Xavier’s School) থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই পছন্দ করতেন না। তাই তিনি প্রায়শই স্কুল থেকে পালিয়ে যেতেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা আজকের ব্যবস্থার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল।
রবীন্দ্রনাথ বাড়িতে অনেক কিছু শিখেছিলেন, যেমন – কুস্তি, শিল্প, ভূগোল, ইতিহাস, সাহিত্য, গণিত, সংস্কৃতি এবং ইংরেজি। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিল তাঁর আরেক ভাই হরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তাঁর পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর সন্তানদের ইংরেজি ও সঙ্গীত শেখার জন্য উৎসাহিত করতেন। তাই তাঁর বাবা বাড়িতে কয়েকজন সংগীতজ্ঞ নিয়োগ করেছিলেন।
উচ্চ শিক্ষা ও বিদেশ সফর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে আইনজীবী হবে।
এই কারণেই ১৮৭৮ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংল্যান্ডের পূর্ব সাসেক্সের ব্রাইটনে একটি পাবলিক কলেজে ভর্তি হন। পরে তিনি আইন অধ্যয়নের জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনে ভর্তি হন।
কিন্তু প্রথাগত শিক্ষায় আগ্রহের অভাবের জন্য তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং নিজের চেষ্টায় শেক্সপিয়ারের বিভিন্ন কাজ শিখতে শুরু করেন। তিনি ইংরেজি, আইরিশ এবং স্কটিশ সাহিত্য ও সঙ্গীতের সারমর্মও শিখেছিলেন।
১৮৮০ সালে দেড় বছর পর তিনি কোনো ডিগ্রি ছাড়াই বাংলায় ফিরে আসেন।
ভারতে এসে তিনি ১৮৮২ সালে দুটি শ্লোক নাটক প্রকাশ করেন, একটির নাম “রুদ্র চক্র” এবং অন্যটি “সন্ধ্যা সঙ্গীত” কবিতার সংকলন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষা চিন্তা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ে প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থাকে শ্রেয় বলে মনে করতেন। তিনি তাঁর “তোতা-কাহিনী” গল্পে মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর পড়াশোনার তীব্র ভৎসনা করেছেন।
তিনি ভারতের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন – যেখানে গাছের নিচে পড়ানো হবে, শিক্ষার্থীদের আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীরা কয়েক বছর ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় Rabindranath Tagore Biography in Bengali Language
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম
সারা বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত একজন কবি হিসেবে বিখ্যাত। তবে তিনি কবিতা ছাড়াও লিখে গিয়েছেন ১৯১৫ টি গান, ১৩ টি উপন্যাস, ৯৫ টি ছোটগল্প, ৩৬ টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮ টি নাটক।
তাঁর রচনাবলী আয়তনে এতই বিশাল যে তা “রবীন্দ্র রচনাবলী” নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
নিম্নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা সমগ্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কর্ম জীবনে অজস্র কবিতা রচনা করেছেন। তাঁর মধ্যে কয়েকটি হল-
- কবি-কাহিনী (১৮৭৮),
- বনফুল (১৮৮০),
- ভগ্নহৃদয় (১৮৮১),
- সন্ধ্যা সঙ্গীত (১৮৮২),
- প্রভাতসংগীত (১৮৮৩),
- ছবি ও গান (১৮৮৪),
- কড়ি ও কোমল (১৮৮৬),
- মানসী (১৮৯০),
- সোনার তরী (১৮৯৪),
- চিত্রা (১৮৯৬),
- চৈতালি (১৮৯৬),
- কল্পনা (১৯০০),
- ক্ষণিকা (১৯০০),
- নৈবেদ্য (১৯০১),
- খেয়া (১৯০৬),
- গীতাঞ্জলি (১৯১০),
- গীতিমাল্য (১৯১৪),
- গীতালি (১৯১৪),
- বলাকা (১৯১৬),
- পলাতকা (১৯১৮),
- পূরবী (১৯২৫),
- মহুয়া (১৯২৯),
- পুনশ্চ (১৯৩২),
- শেষ সপ্তক (১৯৩৫),
- পত্রপুট (১৯৩৬),
- শ্যামলী (১৯৩৬),
- রোগশয্যায় (১৯৪০),
- আরোগ্য (১৯৪১),
- জন্মদিনে (১৯৪১),
- শেষ লেখা (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত)
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা “তোমার সৃষ্টির পথ” যা তিনি মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প সমগ্র
বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অপরিসীম। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার।
তিনি তাঁর ছোট গল্পে সাধারণত আসে পাশের ঘটনাবলি ও আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি ছোট গল্প হল:
- ভিখারিনী (১৮৭৭),
- খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (১৮৯১),
- কঙ্কাল (১৮৯১),
- নিশীথে (১৮৯৪),
- মণিহারা (১৮৯৮),
- ক্ষুধিত পাষাণ (১৮৯৫),
- স্ত্রীর পত্র (১৯১৪),
- নষ্টনীড় (১৯০১),
- কাবুলিওয়ালা (১৮৯২),
- হৈমন্তী (১৯১৪),
- দেনাপাওনা (১৮৯১),
- পোস্টমাস্টার (১৮৯১),
- মাস্টারমশাই (১৯০৭)।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বিভিন্ন ছোট গল্প অবলম্বনে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। যেমন –
- সত্যজিৎ রায় পরিচালিত “তিন কন্যা” (১৯৬১) (“মনিহারা”, “পোস্টমাস্টার” ও “সমাপ্তি” অবলম্বনে) ও “চারুলতা” (১৯৬৪) (“নষ্টনীড়” অবলম্বনে),
- তপন সিংহ পরিচালিত “অতিথি” (১৯৬৫), “কাবুলিওয়ালা (১৯৫৭)” ও “ক্ষুধিত পাষাণ” (১৯৬০),
- পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত “স্ত্রীর পত্র”।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের নাম
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্য জীবনে মোট ১৩ টি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলি হল:
- বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩),
- রাজর্ষি (১৮৮৭),
- চোখের বালি (১৯০৩),
- নৌকাডুবি (১৯০৬),
- প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮),
- গোরা (১৯১০),
- ঘরে বাইরে (১৯১৬),
- চতুরঙ্গ (১৯১৬),
- যোগাযোগ (১৯২৯),
- শেষের কবিতা (১৯২৯),
- দুই বোন (১৯৩৩),
- মালঞ্চ (১৯৩৪),
- চার অধ্যায় (১৯৩৪)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস অবলম্বনে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। যেমন –
- সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘ঘরে বাইরে’ (১৯৮৪),
- ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ‘চোখের বালি’ (২০০৩)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ সমূহ
গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্য অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। প্রবন্ধ গুলিতে তিনি সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য, ইতিহাস, ভাষাতত্ব, সংগীত ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছিলেন।
তাঁর প্রবন্ধ গুলি বিভিন্ন সংকলনে এখনও পর্যন্ত ১৯ টি খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এমন কয়েকটি সংকলন হল:
- সমাজ (১৯০৮),
- কালান্তর (১৯৩৭),
- ধর্ম (১৯০৯),
- শান্তিনিকেতন (১৯০৯-১৬),
- ভারতবর্ষ (১৯০৬),
- ইতিহাস (১৯৫৫),
- সাহিত্য (১৯০৭),
- সাহিত্যের পথে (১৯৩৬),
- সাহিত্যের স্বরূপ (১৯৪৩),
- প্রাচীন সাহিত্য (১৯০৭),
- আধুনিক সাহিত্য (১৯০৭),
- লোকসাহিত্য (১৯০৭),
- শব্দতত্ত্ব (১৯০৯),
- বাংলা ভাষা পরিচয় (১৯৩৮),
- ছন্দ (১৯৩৬),
- সংগীতচিন্তা (১৯৬৬),
- শিক্ষা (১৯০৮),
- ন্যাশনালিজম (Nationalism, ১৯১৭),
- রিলিজিয়ন অফ ম্যান (Religion of Man, ১৯৩০)
- মানুষের ধর্ম ( ১৯৩৩)
- সভ্যতার সংকট (১৯৪১),
- বিশ্বপরিচয় (১৯৩৭),
- জীবনস্মৃতি (১৯১২),
- ছেলেবেলা (১৯৪০),
- আত্মপরিচয় (১৯৪৩)।
পত্রসাহিত্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্র সাহিত্য মোট ১৯ টি খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। এমন কয়েকটি পত্রসাহিত্য হল:
- ছিন্নপত্র ও ছিন্নপত্রাবলী (১৮৮৭-১৮৯৫),
- ভানুসিংহের পত্রাবলী (১৮৮৪),
- পথে ও পথের প্রান্তে (১৯২৯-১৯৩০)।
গীতিনাট্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা। তিনি বেশ কয়েকটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। এমন কয়েকটি গীতিনাট্য হল:
- বাল্মীকিপ্রতিভা (১৮৮১),
- কালমৃগয়া (১৮৮২)
কাব্যনাট্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতিনাট্য রচনার পর কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন। সেগুলি হল:
- রাজা ও রাণী (১৮৮৯),
- বিসর্জন (১৮৯০),
- চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২),
- মালিনী (১৮৯৬)।
প্রহসন রচনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যনাট্যের পর প্রহসন রচনা শুরু করেন। এমন কয়েকটি প্রহসন রচনা হল:
- গোড়ায় গলদ (১৮৯২),
- বৈকুণ্ঠের খাতা (১৮৯৭),
- হাস্যকৌতুক (১৯০৭),
- ব্যঙ্গকৌতুক (১৯০৭)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকের তালিকা
১৯০৮ সালের পর থেকে রবীন্দ্রনাথ রূপক-সাংকেতিক তত্ত্বধর্মী নাট্যরচনা শুরু করেন।
রবীন্দ্রনাথের এমন কয়েকটি রূপক-সাংকেতিক নাট্যরচনা হল:
- শারদোৎসব (১৯০৮),
- রাজা (১৯১০),
- ডাকঘর (১৯১২),
- অচলায়তন (১৯১২),
- ফাল্গুনী (১৯১৬),
- মুক্তধারা (১৯২২),
- রক্তকরবী (১৯২৬),
- তাসের দেশ (১৯৩৩),
- কালের যাত্রা (১৯৩২),
- প্রকৃতির প্রতিশোধ (১৮৮৪),
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বেশ কয়েকটি পুরোনো নাটক শান্তিনিকেতনে ছাত্র ছাত্রীদের অভিনয়ের সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে নতুন নামে প্রকাশ করেন।
এমন কয়েকটি নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হল:
- ঋণশোধ (১৯২১) (‘শারদোৎসব’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
- অরূপরতন (১৯২০), (‘রাজা’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
- গুরু (১৯১৮), (‘অচলায়তন’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
- শেষরক্ষা (১৯২৮), (‘গোড়ায় গলদ’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
- তপতী (১৯২৯) (‘রাজা ও রাণী’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
- পরিত্রাণ (১৯২৯) (‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ)
নৃত্যনাট্য
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘নটীর পূজা’ নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচ ও গানের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। পরে নাচ ও গানের সঙ্গে পরিবেশিত নাটক ‘নৃত্যনাট্য’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন কয়েকটি নৃত্যনাট্য হল:
- নটীর পূজা (১৯২৬),
- শাপমোচন (১৯৩১),
- তাসের দেশ (১৯৩৩),
- নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা (১৯৩৬),
- নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা (১৯৩৮),
- শ্যামা (১৯৩৯)।
রবীন্দ্র সংগীত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীত – এই তিন ধরণের সংগীতের সংমিশ্রণ করে এক নতুন ধরণের শৈলীর জন্ম দেন যা ‘রবীন্দ্র সংগীত’ নামে পরিচিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫ টি গান রচনা করেছিলেন। তাঁর রচিত সব গান ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
রবীন্দ্র নৃত্য
সংগীতের মতোই রবীন্দ্রনাথ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য ও ধ্রুপদি নৃত্যশৈলীগুলির সংমিশ্রণে এক নতুন শৈলীর প্রবর্তন করেন। এই নতুন শৈলীটি “রবীন্দ্রনৃত্য” নামে পরিচিত হয়।
চিত্রকলা
ছবি আঁকতে রবীন্দ্রনাথের কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। তিনি যে সমস্ত ছবি ও স্কেচ এঁকেছিলেন তা নিজের চেষ্টাতেই এঁকেছিলেন। তিনি ২৫০০ এর বেশি ছবি এঁকেছিলেন এবং এর মধ্যে ১৫৭৪ টি ছবি শান্তিনিকেতনে সংরক্ষন করা আছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ছবি গুলো ফ্রান্সের প্যারিস শহরের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছিল। এর পর সারা ইউরোপে তাঁর আঁকা ছবি প্রদর্শিত হয়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী
শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “তোতা কাহিনী” গল্পে একটি খাঁচাবদ্ধ পাখির রূপক ব্যবহার করে দেখিয়েছিলেন কিভাবে বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা ছাত্র সমাজকে নিরস মুখস্ত বিদ্যার মাধ্যমে বৌদ্ধিক মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি শান্তিনিকেতনকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের গন্ডির বাইরে একটি বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা ভাবনা শুরু করেন এবং ২৩ ডিসেম্বর ১৯২১ সালে তিনি “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বইয়ের কপিরাইট এমনকি তাঁর স্ত্রীর গয়নাও বিক্রি করেছিলেন। তিনি সারাজীবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন, এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন, নাটকও করেছেন।
দেশপ্রেম এবং দয়াভাব
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘নাইট হুড’ উপাধি ত্যাগ করেন।
তিনি নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারী নীতিরও বিরোধিতা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষকদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং কৃষকদের সমর্থন করেছেন।
তিনি মহাত্মা গান্ধীর মতো সহিংসতারও বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানবতাই সবচেয়ে বড় জিনিস যা যুদ্ধ শেষ করতে পারে।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বদা জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেছেন। এটা তার দেশপ্রেম ছিল যে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনোই অসহযোগ আন্দোলনকে সমর্থন করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে আমরা কাউকে সম্পূর্ণভাবে বয়কট করতে পারি না। আমরা তাদের কাছ থেকে শিক্ষা, বিজ্ঞানের মতো কিছু শিখতে পারি। এখানেই গান্ধীজির চিন্তা ও ঠাকুরের চিন্তা মেলে নি।
ভ্রমণ
১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট ১২ বার বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন এবং ৩০ টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন।
তিনি ভ্রমণ করেছিলেন – ইংল্যান্ড, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, আর্জেন্টিনা, পেরু, মেক্সিকো, ইতালি, গ্রিস, তুরস্ক, মিশর, বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া, ইরাক, পারস্য, সিংহল।
এই সব দেশে তিনি আইনস্টাইন থেকে শুরু করে অনেক বিখ্যাত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মকে বাংলা ভাষা বোঝেন না এমন লোকদের মাঝে নিয়ে যান।
পেরু ও মেক্সিকো উভয় দেশের সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য প্রদান করেছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?
১৯১৩ সালের নভেম্বরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার, গীতাঞ্জলির জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
গীতাঞ্জলি একটি কবিতার সংকলন, যাতে মোট ১০৩ টি কবিতা রয়েছে।
অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মান
১৯১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ডক্টর অফ লিটারেচার” ডিগ্রি দিয়ে সম্মানিত করে।
১৯১৫ সালের ৩ জুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ব্রিটেন “নাইটহুড” উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তিনি জালিয়ানওয়ালা হত্যাকাণ্ডের পরে এই উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু কত সালে
কবিকে ঘিরে ছিল নানা রোগ। তাই তাঁর জীবনের শেষ চারটি বছর কেটেছে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণায়।
দীর্ঘ রোগ ভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতে ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সংগীত
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা দুটি দেশ জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
- জন গণ মন – “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে….” হল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, যা ২৪ জানুয়ারী ১৯৫০ সালে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল।
- আমার সোনার বাংলা – “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ তার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নেয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী রচনা বাংলায় Rabindranath Tagore Jiboni in Bengali
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কিছু Interesting তথ্য
- ১৯৩০ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে দেখা করেছিলেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সমগ্র জীবনে প্রায় ১৯১৫ টি গান রচনা করেছেন।
- বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই একমাত্র ব্যক্তি যার দুটি রচনা দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- জালিয়ানওয়ালা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “নাইট হুড” উপাধি ত্যাগ করেন।
আরো পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২০ টি উক্তি
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)
তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, নাট্যকার। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৭ই মে, ১৮৬১ সালে।
২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সারদাসুন্দরী দেবী
রবি
ভানুসিংহ ঠাকুর
১৩ জন
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবিকাহিনী
প্রথম কবিতা “অভিলাষ” (১৮৭৪)।
শেষ কবিতা “তোমার সৃষ্টির পথ” মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে লিখেছিলেন।
কবি কাহিনী (১৮৭৮)
বৌ-ঠাকুরাণীর হাট, রাজর্ষি, চোখের বালি, নৌকাডুবি, প্রজাপতির নির্বন্ধ, গোরা, ঘরে বাইরে, চতুরঙ্গ, যোগাযোগ, শেষের কবিতা, দুই বোন, মালঞ্চ এবং চার অধ্যায়।
চার অধ্যায় (১৯৩৪)
জীবনস্মৃতি (১৯১২), ছেলেবেলা (১৯৪০) ও আত্মপরিচয় (১৯৪৩)।
১৯১৩ সালের নভেম্বর মাসে।
গীতাঞ্জলি
৫২ বছর বয়সে।
কুঠিবাড়ি রোড, শিলাইদহ, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
দুটি দেশের – ভারত (জন গণ মন) ও বাংলাদেশ (আমার সোনার বাংলা)।
৭ই আগস্ট, ১৯৪১ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
আশা করি আজকের প্রতিবেদন “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় Rabindranath Tagore Biography in Bengali” আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন কাহিনী সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন।
আর অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী রচনা টি সবার সাথে Share🚀 করুন।