Home » Biography » মহাত্মা গান্ধীর জীবনী Mahatma Gandhi Biography in Bengali

মহাত্মা গান্ধীর জীবনী Mahatma Gandhi Biography in Bengali

মহাত্মা গান্ধীর জীবনী Mahatma Gandhi Biography in Bengali

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন। আজ আমরা মহাত্মা গান্ধীর জীবনী (Mahatma Gandhi Biography in Bengali) সম্পর্কে জানব। ভারতবর্ষ তথা গোটা বিশ্ব তাকে যে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে এবং তার প্রতি এখনো যে সম্মান প্রদর্শন করে তা না এর পূর্বে কাউকে দেওয়া হয়েছে না ভবিষ্যতে দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপিতা নামে পরিচিত মহাত্মা গান্ধী দেশের মূল ভিত্তির একটি। তার প্রতি সম্মান শুধু ভারতীয়রাই প্রদর্শন করে এমন নয়।ভারতবর্ষের বাইরে অনেক দেশে অনেক মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গি আচার ও বিচার মেনে চলেন।

মহাত্মা গান্ধীর জীবনী

Mahatma Gandhi Biography Essay Paragraph in Bengali

জন্ম ও পরিবার পরিচয়

মহাত্মা গান্ধীর জন্ম কত সালে ও কোথায় হয়?

Mahatma Gandhi র পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তার জন্ম হয়েছিল 2nd October, 1869 সালে গুজরাটের পোরবন্দর (Porbandar) ।

মহাত্মা গান্ধীর বাবার নাম কি?

M K Gandhi র বাবার নাম করমচাঁদ গান্ধী (Karamchand Gandhi) ।

সেই সময়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী গান্ধীর বাবা চারটি বিবাহ করেছিলেন। করমচাঁদ গান্ধী নিজেই জানতেন না যে একসময় তার চতুর্থ স্ত্রীর ছেলে Mohandas Karamchand Gandhi ইতিহাসের পাতায় নিজের ও পরিবারের নাম উজ্জ্বল করবেন।

করমচাঁদ গান্ধী খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে তৎকালীন রাজকুমারদের মধ্যে নিজের জায়গা তৈরি করতে হবে এবং নিজের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ রাজনৈতিক আধিকারিকদের মধ্যে কিভাবে নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবে।

মহাত্মা গান্ধীর মায়ের নাম কি?

মহাত্মা গান্ধীর মায়ের নাম পুতলি বায় (Putli Gandhi) ।

গান্ধীজীর মাতা তার সম্পূর্ণ জীবন ধর্মীয় কর্মে ব্যয় করেন। জীবনে কোনদিন তিনি পার্থিব বস্তুর ওপর গুরুত্ব দেননি। তার বেশিরভাগ সময়ই মন্দিরে এবং গৃহকাজে কাটতো। বাস্তবে তিনি ছিলেন পরিবারের প্রতি সমর্পিত আধ্যাত্বিক মহিলা। রোগীর সেবা করা, ব্রত, উপাসনা করা তার দৈনিক জীবন চর্চা ছিল।

ছোটবেলা থেকেই গান্ধীজি লালন-পালন এমন পরিবেশে হয় যেখানে ছিল শান্তি ও ধর্মের আবাস। তিনি ছিলেন নিরামিষভোজী। মায়ের মতো তিনিও অহিংসা, ব্রত, উপবাস প্রভৃতির মত জীবন শৈলী তে বিশ্বাসী ছিলেন যার দ্বারা মনকে বিশুদ্ধ রাখা যায়।

আরও পড়ুন:

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

এবার আমি আপনাদের মহাত্মা গান্ধীর প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে বলব।

পোরবন্দরে পর্যাপ্ত শিক্ষার সুবিধা না থাকার জন্য মোহনদাস তার প্রাথমিক শিক্ষা খুব জটিল পরিস্থিতিতে সম্পন্ন করেন। তিনি মাটিতে আঙ্গুল চালিয়ে বর্ণমালা শিখেন। পরে ভাগ্যক্রমে তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী রাজকোটের ‘দিবান’ হয়। এর ফলে তার সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল।

মহাত্মা গান্ধী স্কুল জীবনে অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

1887 খ্রিস্টাব্দে গান্ধীজী University of Bombay থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাস করেন এবং ভাবনগর শ্যামল দাস কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি মাতৃভাষা গুজরাটি ছেড়ে ইংরেজি শেখে। যার জন্য তাকে অধ্যাপকদের পঠন (Lecture) বুঝতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

Gandhi ji র পরিবার তার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। কারণ তিনি ডাক্তার হতে চেয়েছিল।

কিন্তু বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী হওয়ার জন্য তিনি ডাক্তারের কাজ করতে পারতেন না।

পরিবার থেকে তাকে বলা হয় পারিবারিক পরম্পরা অনুযায়ী তাকে গুজরাটের কোন উচ্চ দপ্তরে চাকুরীতে যোগ দিতে হবে। এর জন্য তাকে ব্যারিস্টার হতে হবে।

মহাত্মা গান্ধী শ্যামলদাস কলেজের পড়াশোনা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না।

ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে যেতে হবে শুনে তিনি প্রচণ্ড আনন্দিত হন।

তার পারিবারিক সম্পত্তি খুব কম ছিল এবং তার মা ও ভয় পাচ্ছিল বিদেশ যাওয়ার কথা শুনে।

কিন্তু গান্ধীজী তার কথায় অটল ছিলেন। তার ভাইয়েরা লন্ডন যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সার ব্যবস্থা করেন।

1888 সালের September মাসে তিনি England উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর দশ দিন পর তিনি Landon law College এ ভর্তি হন।

আরও পড়ুন:

ওকালতি তে গান্ধীজীর প্রথম মামলা

1891 সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারত প্রত্যাবর্তনের পর তিনি ওকালতি তে নিজের জায়গা তৈরি করা শুরু করেন।

তিনি তাঁর প্রথম মামলায় খুব নার্ভাস হয়ে যান। যখন সাক্ষীকে প্রশ্ন করার সময় আছে তখন তাঁর মাথা শূন্য হয়ে যায়। তিনি নার্ভাস থাকার জন্য সাক্ষীকে কোন প্রশ্ন করতে পারেন না এবং কোর্টের বাইরে চলে আসেন। যার জন্য গান্ধীজী তার ক্লায়েন্টকে সম্পূর্ণ fees ফেরত দিয়ে দেন।

অর্থাৎ আমাদের মত তিনিও প্রথমবার ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু এই ব্যর্থতার জন্য তিনি থেমে যাননি।

আরও পড়ুন:

গান্ধীজীর South Africa যাত্রা

তিনি ভারতবর্ষে কিছুদিন ওকালতি করেন। এরপর সাউথ আফ্রিকা তে তিনি Legal Service এর এক বছরের কন্ট্রাক্ট পান।

1893 সালের April মাসে তিনি সাউথ আফ্রিকা যাত্রা করেন। সেখানে তাকে বর্ণভেদ প্রথার সম্মুখীন হতে হয়।

Darwan এর court room এ তাকে তাঁর পাগরি খুলতে বলা হয়। কিন্তু তিনি অসম্মত হন। যার ফলে তাকে court room ছাড়তে হয়।

ট্রেনের First Class কামরার ঘটনা

1893 সালের 7th June ট্রেন যাত্রার সময় তার সাথে একটি ঘটনা ঘটে। যার ফলে তার জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে।

তিনি প্রোটেরিয়া যাচ্ছিলেন ফার্স্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্টে। কিন্তু এক ইংরেজ আপত্তি করে তার ফার্স্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্টে চড়া নিয়ে।

গান্ধীজীর কাছে ফার্স্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্টের টিকিট ছিল।

তিনি ট্রেন থেকে নামতে অসম্মত হন। এর জন্য তাকে এক স্টেশনে ট্রেন থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়।

এই অপমান গান্ধীজীর মনে গভীর দাগ কাটে। তিনি বর্ণভেদ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন।

মহাত্মা গান্ধী সেই রাতেই এই সমস্যার সমাধান করার প্রতিজ্ঞা করেন। সেই রাতে একটি সামান্য মানুষ থেকে জন্ম হয় এক অসামান্য মানুষের।

আরও পড়ুন:

Netal Indian Congress এর প্রতিষ্ঠা

1894 সালে তিনি বর্ণভেদ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য Netal Indian Congres এর স্থাপনা করেন।

এক বছরের কন্ট্রাক্ট শেষ হওয়ার পর তিনি ভারত প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই Netal Assembly ভারতীয়দের ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন।

গান্ধীজীর সঙ্গীরা তার সাথে মিলে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। এভাবে তিনি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি সবার দৃষ্টিতে আনেন।

যুদ্ধের সময় তিনি সাউথ আফ্রিকা থেকে বৃটিশ সরকারকে সাহায্য করেছিলেন।

তার মতে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ভারতীয়দের নাগরিকত্ব পেতে হলে তাদের ও ব্রিটিশ সরকারকে সাহায্য করা উচিত।

সত্যাগ্রহ আন্দোলন (Satyagrah Movement)

তিনি South Africa তে থাকাকালীন নাগরিকতার সম্মান লাভের জন্য মিছিল করেন। তিনি তার অহিংস আন্দোলনকে সত্যাগ্রহ নাম দেন।

সাউথ আফ্রিকা তে তিনি কিছুদিন জেলে ছিলেন।

এমন অনেক ক্ষেত্রে আছে যেখানে তিনি ব্রিটিশ সরকারকে সাহায্য করেছিলেন।

1906 6 সালে গান্ধীজী তার জীবনের প্রথম অসহযোগ আন্দোলন করেন।

এই আন্দোলনের কারণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাতে উপস্থিত ভারতীয়দের ওপর জোর করে চাপানো বাধা নিষেধ এর বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একটি ছিল ব্রিটিশ সরকারের হিন্দু বিবাহ না মানা।

অনেক বছর আন্দোলন চলার পর ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজী সহ বেশকিছু ভারতীয়দের জেলে বন্দী করেন।

শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়ে ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজীর সাথে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়।

এই সমঝোতার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাতে হিন্দু বিবাহ মানতা পায় এবং ভারতীয়দের উপর চাপানো একটি বিশেষ ট্যাক্স বন্ধ করা হয়।

এর পর গান্ধীজি India তে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন:

চম্পারন আন্দোলন (Champaran Movement)

1918 সালে গান্ধীজী ইংরেজ জমিদারদের বিরুদ্ধে চম্পারন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

সেই সময় নীল চাষ করা হত। ইংরেজ জমিদাররা ভারতীয় কৃষকদের জোর করে নীল চাষ করাতেন এবং তাদের উপর নানান নিয়ম চাপে দিতেন। যার ফলে কৃষকরা ব্রিটিশ জমিদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।

কৃষকরা এ আন্দোলনে গান্ধীজীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং তাকে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে বলেন।

এর ফলে সম্পাদনে অহিংস আন্দোলন শুরু হয়।

এই আন্দোলনে গান্ধীজীর জয়লাভ করেন।

খেড়া সত্যাগ্ৰহ (Kheda Movement)

1918 সালে খেড়া নামক স্থানে মনে হয় এবং প্রচুর ফসল নষ্ট হয়। যার ফলে কৃষকদের ট্যাক্সে ছাড় প্রয়োজন ছিল।

গান্ধীজি পুনরায় অহিংস আন্দোলন শুরু করেন। Kheda আন্দোলনে তিনি বিপুল জনসমর্থন লাভ করেন।

শেষ পর্যন্ত 1918 সালের May মাসে ব্রিটিশ সরকার কৃষকদের ট্যাক্সে ছাড় দেন।

গান্ধীজী এই ভাবে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন চালিয়ে যান।

খিলাফত আন্দোলন (Khilafath Movement)

1919 সালে গান্ধীজীর মনে হয় কংগ্রেস দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তিনি হিন্দু মুসলিম একতা দ্বারা ব্রিটিশদের ভারত ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা করেন। এই জন্য তিনি মুসলিম সমাজের কাছে যান।

খিলাফত আন্দোলন সর্বভারতীয় আন্দোলন ছিল। মহাত্মা গান্ধী সম্পূর্ণ দেশের মুসলিম সমাজের কনফারেন্স রাখেন। এ আন্দোলনে মুসলিমদের অনেক সাহায্য করা হয়। গান্ধীজীর প্রচেষ্টার জন্য তাকে রাষ্ট্রনেতা করা হয়। এই আন্দোলনের ফলে কংগ্রেসে তিনি বিশেষ জায়গা করে নেন।

কিন্তু 1922 সালে খিলাফত আন্দোলন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর গান্ধীজী সারা জীবন হিন্দু মুসলিম Unity র জন্য লড়াই করেন। কিন্তু হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তেই থাকে।

আরও পড়ুন: স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী

অসহযোগ আন্দোলন (1920) (Non Cooperation Movement)

বিভিন্ন আন্দোলনের মোকাবিলা করার জন্য ইংরেজ সরকার 1919 রাওলাট আইন (Roulatt Act) পাশ করেন।

এই সময় গান্ধীজী বেশকিছু সভার আয়োজন করেন। পাঞ্জাবের অমৃতসর অঞ্চলে এরকম একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ সভা কে ইংরেজ সরকার নির্মমভাবে দমন করেছিলেন যার জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।

মহাত্মা গান্ধী এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে 1920 সালে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়রা যেন কোন হবে ইংরেজদের সাহায্য না করে। এ আন্দোলন অহিংস হবে করা হচ্ছিল।

আপনি এখন মহাত্মা গান্ধীর জীবনী পড়ছেন।

চৌরি চৌরার ঘটনা

উত্তরপ্রদেশের চৌরি চৌরা নামক স্থানে কিছু মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিল। কিন্তু ইংরেজ সৈন্য তাদের ওপর গুলি চালিয়ে দেন। যার ফলে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে কিছু মানুষ রাগে পুলিশ স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেন এবং 22 জন পুলিশ মারা যায়।

এই হিংসাত্মক গতিবিধির জন্য অহিংসার পূজারী গান্ধীজী আন্দোলন বন্ধ করে দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল সম্পূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন যেন কোনরূপ হিংসাত্মক গতিবিধি না হয়।

ডান্ডি আন্দোলন (Civil Disobedience Movement)

1930 সালে তিনি সবিনয়ে অবজ্ঞা আন্দোলন শুরু করেন। এ আন্দোলন লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন বা ডান্ডি আন্দোলন বা ডান্ডি মার্চ বা Civil Disobedience Movement নামে পরিচিত।

এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের তৈরি কোন আইন না মানা তথা অবহেলা করা। যেমন ব্রিটিশ সরকার আইন করেছিল কেউ যেন লবণ তৈরি না করে।

12th March, 1930 সালে তিনি এই আইন অমান্য করার জন্য ডান্ডি উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ডান্ডি পৌঁছানোর পর তিনি লোকদেরই করেন। এভাবে এই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

ডান্ডি আন্দোলন চলাকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামী অনেক নেতাকে ব্রিটিশ সরকার গ্রেপ্তার করেন।

আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর ১০১ টি অনুপ্রেরণামূলক বাণী

ভারত ছাড়ো আন্দোলন (1942) (Quit India Movement)

1940 এর দশক আস্তে আস্তে মানুষের মনে ভীতি সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড রাগ তৈরি হয়। গান্ধীজী সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভকে কে সঠিক কাজে লাগানোর জন্য মনস্থির করেন।

1942 সালে তিনি বিস্তৃতভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করেন।

এই আন্দোলন এতদিন পর্যন্ত হওয়া সমস্ত আন্দোলন নেট থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিল যাকে দমন করা ইংরেজ সরকারের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

গান্ধীজির আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য

গান্ধীজীর দ্বারা চালানো সমস্ত আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য এই ছিল যে

  1. সমস্ত আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করা হত।
  2. আন্দোলন চলাকালীন কোন প্রকার হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে গান্ধীজী সেখানেই আন্দোলন বন্ধ করে দিতেন। অনেকের মতে আমাদের দেরি করে স্বাধীনতা লাভের জন্য এটা একটা মস্ত বড় কারন।
  3. আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল সত্য এবং অহিংসা।

আপনি এখন মহাত্মা গান্ধীর জীবনী পড়ছেন।

Mahatma Gandhi Original Speech on “God and Truth

Mahatma Gandhi Speech on God and Truth – Original Speech in his own voice

অহিংসার পূজারী গান্ধীজীর সামাজিক জীবন

গান্ধীজীর সামাজিক জীবন খুব সহজ-সরল উচ্চ বিচার পূর্ণ ছিল। তার এই স্বভাবের জন্য মানুষ তাকে মহাত্মা বলে সম্বোধন করতেন।

তিনি ছিলেন প্রজাতন্ত্রের বড় সমর্থক।

তার প্রধান দুটি হাতিয়ার ছিল সত্য এবং অহিংসা। এই দুই হাতিয়ারের জোরেই তিনি ভারতকে ইংরেজ শাসন থেকে স্বাধীন করেন।

গান্ধীজীর ব্যক্তিত্ব ছিল যে তার সাথে কেউ একবার মিশলে সে গান্ধীজীর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে থাকতে পারত না।

গান্ধীজী সমাজের অস্থিরতা দূর করার অনেক চেষ্টা করেন। তিনি পিছিয়ে পড়া জাতিকে ঈশ্বর নামে হরিজন নাম দেন। তিনি সারাজীবন পিছিয়ে পড়া জাতিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।

গান্ধীজীর বিভিন্ন উপাধি

  1. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীজী কে রাষ্ট্রপিতা বলে সম্বোধন করেন।
  2. রবীনাথ ঠাকুর মাতা গান্ধীজী কে মহাত্মা উপাধি দেন।
  3. চার্চিল (Winston Churchill, 1931) গান্ধীজীকে ফকির বলতেন।
  4. গান্ধীজিকে অর্ধনগ্ন সাধু (Half Naked Saint) বলতেন Frank Mores ।
  5. ভারত বর্ষে মহাত্মা গান্ধীকে জাতির জনক (Jatir Janak Mahatma Gandhi in Bengali) বলা হয়।

গান্ধীজী সম্পাদিত পত্র পত্রিকা

  1. Indian Opinion (1903-15) – ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাটি ও তেলেগু ভাষায়।
  2. Harijan (হরিজন 1919-31) – ইংরেজি, গুজরাটি ও হিন্দি ভাষায়।
  3. Young India – ইংরেজি ও গুজরাটি ভাষায়।

গান্ধীজীর লেখা বই (Books Written by Mahatma Gandhi)

  • হিন্দ স্বরাজ (Hind Swaraj), 1909
  • My experiments with truth, 1927 – মহাত্মা গান্ধীর আত্ম জীবনী

মহাত্মা গান্ধীর আত্মজীবনীর নাম কি?

মহাত্মা গান্ধীর আত্বজীবনীর নাম ” My experiments with truth”.

Also Read:

What is the name of the Autobiography of Mahatma Gandhi?

The name of the autobiography of Mahatma Gandhi is “My experiments with truth”. This book was written by Mahatma in 1927.

গান্ধীজীর মৃত্যু

1948 সালের 30th January গান্ধীজীর মৃত্যু হয়

নাথুরাম গডসে (Nathuram Godse) গান্ধীজিকে গুলি করে হত্যা করেন। তার মুখ থেকে নিঃসৃত শেষ কথাটি ছিল “হে রাম”।

দিল্লি রাজকোটে গান্ধীজিকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।

গান্ধীজীর সাথে জড়িত কিছু রোচক তথ্য

১) গান্ধীজিকে সবাই রাষ্ট্রপিতা বলেন।

কিন্তু গান্ধীজিকে রাষ্ট্রপিতা উপাধি ভারত সরকার দেয়নি।

ভারতীয় সংবিধানের 18 নম্বর ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে সামরিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ছাড়া উপাধি গ্রহণ এবং দান নিষিদ্ধ।

Netaji Subhas Chandra Bose একবার মহাত্মা গান্ধীকে রাষ্ট্রপিতা নামে সম্বোধন করেন। তখন থেকেই তাকে রাষ্ট্রপিতা বলা হয়।

২) গান্ধীজীর মৃত্যুর পর এক ইংরেজ অফিসার বলেছিলেন, “যেই গান্ধীর এত বছর আমরা কোন ক্ষতি হতে দিইনি যাতে ভারতবর্ষে আমাদের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি আরও জটিল না হয়ে যায়, স্বাধীন ভারত সেই গান্ধীকে এক বছর ও বাঁচতে দিল না।”

৩) গান্ধীজীর স্বদেশী আন্দোলন করেছিলেন এবং সকল ভারতবাসীকে বিদেশী বস্তু ত্যাগ করতে বলেছিলেন।

স্বদেশী কাপড়ের জন্য তিনি স্বয়ং চড়কা চালিয়ে কাপড় তৈরি করেন।

৪) গান্ধীজী দেশে-বিদেশে অনেক আশ্রম তৈরি করেন। সবরমতী আশ্রম তাদের মধ্যে অন্যতম

৫) গান্ধীজী আত্মশুদ্ধির জন্য প্রচণ্ড কঠোর উপবাস ও অনুশাসন পালন করতেন।

৬) তিনি সারা জীবন হিন্দু মুসলিম একতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।

গান্ধী জয়ন্তী কবে পালন করা হয়?

প্রতি বছর 2nd October গান্ধী জয়ন্তী (Gandhi Jayanti) পালন করা হয়।

মহাত্মা গান্ধীর সমালোচনা ও তাঁর জীবনের কিছু অন্ধকার দিক (Dark Side of Mahatma Gandhi)

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছেন এবং তাঁর সত্য ও অহিংসার বলে 1947 সালের 15 ই আগস্ট ভারত স্বাধীন হয়।

আপনাদের মনে হতে পারে এমন একজন মহান মানুষের চরিত্রে কোন কলঙ্ক ছিল না। কিন্তু সভ্য সমাজে তিনিও সমালোচিত। আর পাঁচটা মানুষের মতো গান্ধীজীর চরিত্রেও কিছু অন্ধকার দিক ছিল।

যে সমস্ত কারণে গান্ধীজি আজও সমালোচিত:

১) ব্রহ্মচর্যের জন্য যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা

গান্ধীজি ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করার পর যৌনতা নিয়ে প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং আজও তিনি সেই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সমালোচিত হন।

তিনি দেখতে চেয়েছিলেন যৌনতার সংসর্গ থেকে নিজেকে সংযত করতে পারেন কিনা। এই পরীক্ষার জন্য তিনি উলঙ্গ হয়ে এক বিছানায় নারীদের সাথে ঘুমাতেন এবং বিভিন্ন নারীদের তার সাথে নগ্ন হয়ে একই বিছানায় শয্যা গ্রহণ করতে বাধ্য করেন।

এমনকি তিনি তার কিশোরী ভাগ্নির সাথে উলঙ্গ হয়ে একই বিছানায় শষ্যা গ্ৰহণ করতে কার্পণ্য করেননি।

গান্ধীজীর এর পরীক্ষার জন্য তার নাতনি এবং মানু গান্ধী তার সাথে শয্যা গ্রহণ করেন।

যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা বিষয়ে মহাত্মা গান্ধীর উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। তিনি দেখতে চেয়েছিলাম ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করার পর যৌনতাকে পুরোপুরি জয় করতে পেরেছেন কিনা।

২) নারী বিদ্বেষ ছিল গান্ধীজীর অপর অন্ধকার দিক

গান্ধীজী মনে করতেন নারীদের রুপ এবং সৌন্দর্যের কারণে পুরুষ মানুষ ভ্রমিত এবং লক্ষ্যচ্যুত হন।

আমরা সবাই জানি গান্ধীজী 1893 থেকে 1914 সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন। সেই সময় দুইজন নারী গান্ধীজীকে তাঁর দুইজন অনুগামীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে করেন।

যে কোন মানুষ এই ক্ষেত্রে সেই দুই অনুগামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিচার করতেন।

কিন্তু মহাত্মা গান্ধী ঠিক বিপরীত কাজ করেন। তিনি শাস্তি তো দুরের কথা সেই দুই অনুগামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মহিলা দুটির চুল ছোট করে ছাটা আদেশ দেন যাতে ভবিষ্যতে তাদের রুপের আকর্ষণে কোনো পুরুষের মন আন্দোলিত না হয়।

তিনি সুন্দরী মহিলাদের রুপ এবং সৌন্দর্য একদমই সহ্য করতে পারতেন না।

৩) গান্ধীজী গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ঘোর বিরোধী ছিলেন

তিনি মনে করতেন যৌনতা হল শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা যা সন্তান-সন্ততি উৎপাদনের পর নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।

তিনি আরও মনে করতেন স্ত্রী পুরুষের উচিত যৌনতা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা।

মেয়েদের ঋতুস্রাবের মত স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়াকে গান্ধীজি অপবিত্র বলে মনে করতেন।

Also Read: শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী, ছবি, স্ট্যাটাস

৪) Gandhiji র বর্ণবাদ নীতি

অনেকের মতে গান্ধীজীর দক্ষিণ আফ্রিকার কালো চামড়ার মানুষদের নীচু শ্রেনীর মনে করতেন। তিনি মনে করতেন ভারতীয়রা দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের থেকে উঁচু শ্রেণীর।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে গান্ধীজী সবসময়ই কালো চামড়ার মানুষদের এড়িয়ে চলতেন। এমনকি 1905 সালে ডারবানে যখন ভয়াবহ প্লেগ রোগ ছড়ায় তখন তিনি এ রোগের জন্য কালো চামড়ার মানুষদের দায়ী করেন।

তিনি সবসময় চেষ্টা করতেন কালো চামড়ার মানুষদের সাথে ব্রিটিশ সরকার যে অন্যায় করছে তা যেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সাথে না হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে থাকাকালীন মহাত্মা গান্ধী কালো মানুষদের জন্য আলাদা করে কিছু করেননি।

1908 সালে আন্দোলন চলাকালীন গান্ধীজি কে যখন কালো চামড়ার মানুষদের সাথে একই কারাগারে রাখা হয় তখন তিনি আক্ষেপ করে বলেন তাকে কালো চামড়ার মানুষদের সাথে না রেখে শ্বেতাঙ্গদের কারাগারে কেন রাখা হল না।

৫) মহাত্মা গান্ধী ছিলেন বিদেশী ওষুধের ঘোর বিরোধী

মৃত্যুর কিছু সময় পূর্বে গান্ধীজীর স্ত্রী কস্তুরবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা তাকে বলেন কস্তুরবা কে পেনিসিলিন দিলে তিনি সেরে উঠবেন।

কিন্তু গান্ধীজী বিদেশি ওষুধ ব্যবহার করতে অসম্মত হয়। যার ফলস্বরূপ 1944 সালে তাঁর স্ত্রী মারা যান।

পরবর্তীকালে গান্ধীজি নিজে একসময় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বিদেশি ওষুধ কুইনাইন ব্যবহার করেন এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এই বিষয়টি সভ্য সমাজে অনেকেই হজম করতে পারেন না।

আরও পড়ুন: শুভ অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৩ ছবি ও শুভেচ্ছা বার্তা

উপসংহার

গান্ধীজী একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তাঁর জীবনকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছেন।

অসত্য ও হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার প্রধান দুটি হাতিয়ার ছিল সত্য ও অহিংসা।

আমরা এখনো তার সিদ্ধান্ত ও তাকে অনুসরন করে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারি এবং গান্ধীজীর স্বপ্নের ভারত বর্ষ তৈরি করতে পারি।


আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে বা মহাত্মা গান্ধীর জীবনী সম্পর্কে আপনার কাছে অন্য কোনো তথ্য জানা থাকলে কমেন্ট করে আমাদের সবাইকে তা জানাতে পারেন।

আশাকরি মহাত্মা গান্ধীর জীবনী নিয়ে লেখা আমার এই প্রবন্ধটি আপনাদের ভাল লেগেছে।

ভালো লাগলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন (Share)।

আপনি এই লেখাগুলো পড়তে পারেন:

Also read :

3 thoughts on “মহাত্মা গান্ধীর জীবনী Mahatma Gandhi Biography in Bengali”

  1. Dada আপনার এই লেখা গুলি অনেক আকর্ষনীয় করে দেই চোকের পলক কে দাদা আগেই যাও thank you

    Reply
  2. আমি এই লেখাতে মূলত মহাত্মা গান্ধীজী জীবনী নিয়ে আলোচনা করেছি।

    Mahatma Gandhiji আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তার জীবন দর্শন মেনে চললে আমরাও জীবনে অনেক কঠিন পথ অতিক্রম করতে পারব।

    প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু অন্ধকার দিক থাকে। হয়ত Mahatma Gandhi র জীবনেও আছে।

    আমি খুঁজে দেখব গান্ধীজীর জীবনে কোনো অন্ধকার দিক আছে কিনা? যদি থাকে এবং সেটা যদি উল্লেখযোগ্য হয় তবে অবশ্যই তা এখানে update করে দেব।

    Reply
  3. আমি আধুনিক ভারতের মনীষী দের মধ্যে যাকে সবচেয়ে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি তে দেখি তিনি হলেন গান্ধী। তিনি রাষ্ট্রপিতা হওয়ার মতো কোনো কাজ করেন নি। তিনি হিন্দু ধর্ম বিদ্বেষী ছিলেন। তার জীবনে এমন অনেক ঘটনা আছে যা থেকে এই কথা প্রমাণ হয়। ভারতবর্ষ খন্ডিত হওয়ার জন্য তিনি অবশ্যই দায়ী। তাকে নিয়ে প্রচারের আদিখ্যেতা য় তার জীবনের অন্ধকার দিক গুলো লুকিয়ে রাখা হয়। আপনি যদি প্রকৃতই তার জীবনের কাহিনী তুলে ধরতে আগ্রহী হন তবে তার জীবনের অন্ধকার দিক তুলে ধরুন।
    তিনি ক্ষমতায় থাকার লোভে সুভাষ চন্দ্র বসু কে কংগ্রেস সভাপতি র পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

    ওনার নাম আমার কাছে সাপের বিষের মতো ।
    ওনাকে জাতির পিতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয় ওনাকে খারাপ চোখে দেখে।
    আমি ও তাদের একজন।

    ধন্যবাদ,জয় হিন্দ।।

    Reply

Leave a Comment